মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নবীজিই হবেন জান্নাতের জামিন, যদি রক্ষা করেন দুই অঙ্গ।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

নবীজিই হবেন জান্নাতের জামিন, যদি রক্ষা করেন দুই অঙ্গ।

ছবি- সংগৃহীত

জান্নাত, প্রতিটি মুমিনের চূড়ান্ত গন্তব্য। এই চিরস্থায়ী শান্তির ঠিকানা লাভের জন্য মুমিনরা সারা জীবন সাধনা করেন। হাদিস শরিফে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এমন কিছু আমলের কথা বলেছেন, যা মুমিনদের জান্নাত লাভের পথকে সহজ করে দেয়। দুটি অঙ্গের সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলে স্বয়ং নবীজি (সা.) তাদের জন্য জান্নাতের জামিন হবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছেন।

 জান্নাতের নিয়ামত মানুষের কল্পনার বাইরে। পৃথিবীতে সবচেয়ে হতভাগা মানুষটিও জান্নাতের সামান্য ছোঁয়ায় তার সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, কিয়ামত দিবসে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তবে নবীজি (সা.) বিশেষ করে দুটি অঙ্গের হেফাজতের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।


নবীজির জামিন লাভের শর্ত: হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নিজের দুই চোয়াল (জিহ্বা) এবং দুই রানের মধ্যবর্তী অঙ্গ (লজ্জাস্থান) হেফাজত করবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হবো।” (সহিহ বুখারি: ৬৪৭৪)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান - এই দুটি অঙ্গের নিয়ন্ত্রণ একজন মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জিহ্বার গুরুত্ব ও এর প্রভাব: জিহ্বা একটি ছোট্ট মাংসপিণ্ড হলেও এর প্রভাব ব্যাপক। এই জিহ্বার মাধ্যমেই মানুষ যেমন কুফরি কথা বলে জাহান্নামের পথ উন্মুক্ত করে, তেমনি এই জিহ্বাই কালেমা পড়ে একজন মানুষকে মুমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। গীবত, গালিগালাজ, কুটনামীর মতো মন্দ কাজ এই জিহ্বা দিয়েই হয়, যা মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। আবার এই জিহ্বার মাধ্যমে সৎ ও ন্যায়ের কথা বলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। কুরআন ও হাদিসে এসেছে, জিহ্বা, হাত ও পা মানুষের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহর কাছে সাক্ষী দেবে। তাই ভালো কথা বলা অথবা চুপ থাকার ওপর ইসলাম গুরুত্বারোপ করে।

লজ্জাস্থানের হেফাজত: দ্বিতীয় যে অঙ্গটির হেফাজতের কথা বলা হয়েছে তা হলো লজ্জাস্থান। এর মাধ্যমে ব্যভিচার, অশ্লীলতা ও নানা ধরনের হারাম কাজ সংগঠিত হয়, যা একজন মানুষকে ঈমানের আলো থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। হাদিসে আছে, "যখন কোনো মানুষ ব্যভিচার করে তখন তার অন্তরে ঈমান থাকে না।" (সুনানে আবু দাউদ : ৪৬৯০) লজ্জাস্থানের হেফাজত করা মুমিনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে মুমিনদের এই গুণটির প্রশংসা করেছেন।