সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

স্ত্রীকে লাইভে রেখে প্রবাসীর আত্মহত্যা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

স্ত্রীকে লাইভে রেখে প্রবাসীর আত্মহত্যা

প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনযাত্রা প্রায়শই কঠিন হয়। পরিবার থেকে দূরে থেকে তাদের মানসিক চাপ ও একাকীত্ব নিয়ে চলতে হয়। এর সঙ্গে যদি পারিবারিক কলহ বা সম্পর্কের জটিলতা যোগ হয়, তবে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ওমানে কর্মরত এক বাংলাদেশি প্রবাসীর আত্মহত্যা তেমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা, যা পারিবারিক কলহ এবং সামাজিক সম্পর্কের জটিলতাকে আবারও সামনে এনেছে।

স্ত্রীকে লাইভ ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন রুমন নামের এক প্রবাসী। শনিবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ওমানের সালালাহ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত রুমন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা।

 

নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, নয় বছর আগে রুমন তার খালাতো বোনের সঙ্গে পারিবারিক পছন্দে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের চার মাস পর তিনি ওমান চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

শনিবার রুমন তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও নিয়ে লাইভ ভিডিও কলে ঝগড়া করেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, “আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করতে দেখে আমি তাৎক্ষণিক কল কেটে একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাতো বোনের জামাই ওবায়দুল হককে জানাই। তিনি গিয়ে দেখেন স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।”

রুমনের মা এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, “আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করাই। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকত এবং আমার খোঁজখবর রাখত না। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে, তবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

নিহতের ভাই আবদুল মমিন অভিযোগ করেন, “বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করে। ভাই প্রবাসে থাকার সুবাদে ভাবি পান্না বেগম স্থানীয় এক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন দলীয় দাপটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি।”

ওমান থেকে নিহতের ভায়রা ওবায়দুল হক জানান, “ফুফাতো শ্যালিকা পান্নার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি টিনশেড ঘরে রুমনের লাশ ঝুলছে। তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি দেশে জানাই।”