সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

চা না কফি, কোনটি বেশি উপকারী? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ মতামত

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম

চা না কফি, কোনটি বেশি উপকারী? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ মতামত

ছবি- সংগৃহীত

অনেকের কাছেই দিন শুরু হয় এক কাপ গরম চা বা কফি দিয়ে। কিন্তু এই দুটি পানীয়ের মধ্যে কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, উভয় পানীয়েরই কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা প্রধানত এদের মূল উপাদান—ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে।

গবেষণায় দেখা গেছে, চা এবং কফি পান করা ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাস্থ্যবান হতে পারেন। এর একটি প্রধান কারণ হলো ক্যাফেইন। ক্যাফেইন সতর্কতা ও মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মানসিক মুডও ভালো রাখে। তবে ক্যাফেইনের পরিমাণ চা এবং কফিতে ভিন্ন হয়। এক কাপ (৮ আউন্স) কফিতে সাধারণত ৮০-১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, যা চায়ের তুলনায় বেশি। গ্রিন টি-তে ৪০-৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, যা কফির চেয়ে কম। তাই তাৎক্ষণিক চাঙ্গা হতে অনেকেই কফিকে বেছে নেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তবে, কারো কারো জন্য সামান্য পরিমাণ ক্যাফেইনও উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ক্যাফেইন ছাড়াও, উভয় পানীয়তেই গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন পলিফেনল থাকে। এই উপাদান দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি-তে পলিফেনলের পরিমাণ বেশি থাকে, যা কফির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতোই কার্যকারিতা বহন করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কফি পানে হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, বিষণ্ণতা এবং স্নায়ু সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত কফি পান দীর্ঘায়ুর সঙ্গেও সম্পর্কিত। অন্যদিকে, চায়ের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম তথ্য পাওয়া গেলেও এটিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ২০০-৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনযুক্ত চা বা কফি পান করলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

সুতরাং, চা এবং কফি উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, যদি তা পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর।