আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় জ্বালানি তেল কেনায় ভারতের ওপর আরও অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর যে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে 'অন্যায্য' ও 'অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একইসঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয় অব্যাহত রাখবে।
সোমবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ভারতকে দায়ী করেন এবং দেশটির ওপর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনে কত মানুষ নিহত হচ্ছেন, সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেই যাচ্ছে।
ট্রাম্পের এই হুমকির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ইস্যুতে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, "যেখানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত, সেখানে ভারতের ওপর এ ধরনের আক্রমণ অন্যায্য, অযৌক্তিক।" মন্ত্রণালয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ৬৭.৫ বিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করেছে, যা ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সারা বছর যে বাণিজ্য করে তার চেয়ে অনেক বেশি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার কাছ থেকে তার পরমাণু শিল্পের জন্য হেক্সাফ্লোরাইড, বৈদ্যুতিক যানবাহনে ব্যবহারের জন্য পাল্লাডিয়াম, সার ও রাসায়নিক পণ্য আমদানি করছে বলে দাবি করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছে, "অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণকে ন্যায্য মূল্যে তেল সরবরাহ করাকে ভারত তার জাতীয় স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করে।" ভারত এই স্বার্থ রক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প ইতোমধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন, যা আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।