আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্প্রিলওয়ে গেট আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে পানি ছাড়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো কাপ্তাই হ্রদের পানি ছেড়ে দিতে বাঁধের গেটগুলো খোলা হয়েছে। হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট (এমএসএল) বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বুধবার রাত ৮টার পর বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। এছাড়া, কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫টি ইউনিট চালু থাকায় আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্র থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ছিল ১০৮.৩৫ ফুট উচ্চতায়।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৯ ফুট। তিনি বলেন, বর্তমানে হ্রদের পানির গতিপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে পানি ছাড়ার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটি সদর, বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। রাঙামাটির ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতুটিও হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সদরসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। জেলা প্রশাসন পানিবন্দি লোকজনের তালিকা তৈরির কাজ করছে।