শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

আফ্রিদির জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মানি লন্ডারিং মামলার ইঙ্গিত

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২৯, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

আফ্রিদির জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মানি লন্ডারিং মামলার ইঙ্গিত

ছবি- সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, বাবা-ছেলের অপকর্মের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং এর ভিত্তিতে আরও কয়েকটি মামলা হতে পারে।

সিআইডি সূত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথী বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন এবং অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে ক্ষমতা অপব্যবহার করে ‘মাই টিভি’ দখল করার বিষয়টি। সিআইডি জানিয়েছে, বিলকিস জাহান নামের এক নারীর কাছ থেকে জাল-জালিয়াতি ও পেশিশক্তি দেখিয়ে চ্যানেলটি দখল করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাবা-ছেলের অবৈধ উপায়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার পর তাদের অনেক কুকীর্তির তথ্যও মিলছে। ক্ষমতার ছত্রছায়ায় নিজেকে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবতে শুরু করেন তৌহিদ আফ্রিদি। কখনো মন্ত্রীদের সঙ্গে, কখনো আবার মন্ত্রী-এমপিদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন তিনি। বিপুল অর্থের বিনিময়ে শোবিজের উঠতি নায়িকাদের সঙ্গে ফুর্তি করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ অপরাধীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।

বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা দায়েরের বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করা হবে।

আইনি প্রক্রিয়া গত বছর ১ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় বাবু হত্যা মামলাটি করেন তার বাবা। মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথীসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা ২২ নম্বর আসামি।

বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, ২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৌহিদ আফ্রিদিকে। তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তৌহিদ বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। সিআইডি বলছে, আফ্রিদির কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল, হার্ডডিস্ক ও ম্যাকবুকের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে, যা তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।