শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

ডেঙ্গুতে নতুন প্রাণহানি: হাসপাতালে আরও ২৮০ জন ভর্তি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

ডেঙ্গুতে নতুন প্রাণহানি: হাসপাতালে আরও ২৮০ জন ভর্তি

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে ডেঙ্গু একটি নিয়মিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছরই এই মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে এবং অনেক মানুষের জীবনহানি ঘটে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, মশা নিধন ও জনসচেতনতার অভাবে রোগের বিস্তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে এবং প্রতিদিনই নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮০ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় (অর্থাৎ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৬৬ জন, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রোগী রয়েছেন। এই তথ্যগুলি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর বিস্তারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৮ হাজার ৬২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন নারী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জনসাধারণকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মশা নিধন কার্যক্রম, সচেতনতামূলক প্রচার এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং নিজ নিজ এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।