সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার জেরে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় সব ধরনের বিমান ও সামরিক উড়োজাহাজের জন্য আবারও এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। শুক্রবার পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (পিএএ) নতুন একটি নোটিশের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের কোনো বাণিজ্যিক এয়ারলাইন, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বা সামরিক বিমান আগামী এক মাস পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। এই দফায় নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির পর এখন পর্যন্ত মোট ২১০ দিন ধরে ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এরপর ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ৩০ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানি উড়োজাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় গত ৬ ও ৭ মে ভারত পাকিস্তানের একাধিক শহরে হামলা চালায়, যার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে। পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হামলায় ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
একই সঙ্গে তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান (এর মধ্যে তিনটি রাফাল) এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে। টানা ৮৭ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়।
আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতের বিমান পরিবহন খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দীর্ঘ পথ ঘুরে ফ্লাইট পরিচালনা করায় সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে। আন্তর্জাতিক রুটেও ভারতের যাত্রী পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বিমান চলাচল শিল্পের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে সীমিত।
এর আগেও ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধ করেছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতের বিমান চলাচল শিল্প বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।