বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১০:২৫ এএম

ডাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ডাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে তার রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মতে, একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জালাল আহমেদ এবং তার রুমমেট রবিউল ইসলামের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি মারামারিতে গড়ায় এবং জালাল আহমেদ তার রুমমেটকে ছুরিকাঘাত করেন। আহত অবস্থায় রবিউল কক্ষ থেকে বেরিয়ে এলে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই জালাল আহমেদ নিজেকে কক্ষের ভেতরে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম ও হল প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তাকে কক্ষ থেকে বের করে আনা হয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত জালাল অবশ্য পাল্টা আঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার পর মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা অভিযুক্ত জালাল আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানান।

রিপোর্টারের ভয়েস থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "হলের প্রভোস্ট, দুজন হাউস টিউটর এবং কর্মকর্তারা অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় হল প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করবে।" তিনি আরও বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জালালকে বহিষ্কারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেরি করা হয়।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। ক্যাম্পাস সহিংসতা রোধে কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে, যা প্রায়শই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্ম দেয়।