রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা : ৬ আসামি ট্রাইব্যুনালে

গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার এএসআই আমির হোসেনসহ ছয় আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

দিনাজপুরে বৃক্ষমেলার সমাপনী: পরিবেশ রক্ষায় সবুজ অঙ্গীকার

বিস্তারিত পড়ুন

জমজমের পানি ও খেজুর দিয়ে শিশু-বৃদ্ধদের আপ্যায়ন

বিস্তারিত পড়ুন

অন্য আসামিরা হলেন— বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীসহ ছয়জন।

এর আগে সোমবার (২৮ জুলাই) এই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। আজ (মঙ্গলবার) আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়। তিনি মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে এখনও ২৪ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় পলাতক হিসেবেই এসব আসামির বিচারকাজ চলবে। এছাড়া, গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন এখনও আইনজীবী নিয়োগ দেননি। তাদের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল পলাতক ২৪ জনের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।